ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পর পর তিন ডোজ করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ ফ্রেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারূপ সিরাজুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে বিদ্যালয়ে আসে ওই ছাত্রী। সেখানে তাকে পর পর তিন ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, গত ১২ জানুয়ারি প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। বুধবার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়। তার দাবি, টিকা প্রদানকারীরা তাকে প্রথমে এক ডোজ পরে আরেক ডোজ দেন। এরপর আরও এক ডোজ টিকা দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিকা প্রদানকারী নার্স তাকে জানান, প্রথমটি দেওয়া হয়নি। তাই আবার টিকা প্রদান করেছেন।
ওই ছাত্রী জানায়, ‘আমি দুইবার টিকা পুশের ব্যথা অনুভব করেছি। তবে আমার সহপাঠীরা জানায়, আমাকে তিন বার টিকা দেওয়া হয়েছে। এতে ভয় পাই। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন সুস্থ একটু সুস্থ আছি।’
এ বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম জানান, ‘বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন। এক ছাত্রী একাধিকবার টিকা প্রদান করা হয়েছে বলে দাবি করেছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, তাকে এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সে পুরোপুরি সুস্থ আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরূপ পাল জানান, এ পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটেনি। মেয়েটি একবার বলছে এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে, আরেকবার বলছে তিন ডোজ দেওয়া হয়েছে। সে একেক সময় একেক কথা বলছে।
তিনি জানান, প্রতিদিন ওই টিকা কেন্দ্রে দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। মোট আট জন স্বাস্থ্যকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। কখনও এমন হয়নি। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে এক ডোজ টিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তারপরও প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে।
জেলা সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ জানান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই ছাত্রী যেহেতু মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে, তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে সত্যিই তিন ডোজ টিকা দেওয়া হলে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।