বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বাধ্য হয়ে তারা গেটের সামনে ব্যস্ত রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে যেকোনও সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বান্দরবান বাজার ও এর পাশেই রয়েছে ইজিবাইকের স্টেশন। আর এখানেই অবস্থিত বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের গেটে রয়েছেন একজন নিরাপত্তা প্রহরী। গেটের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। তারা বার বার ভেতরে প্রবেশ করতে চাচ্ছে। কিন্তু প্রহরী ঢুকতে দিচ্ছেন না। তাদের পাশ ঘেষে দ্রুত গতিতে চলছে নানা ধরনের যানবাহন।
জানা গেছে, বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রভাতী শাখা ও দিবা শাখায় শ্রেণি পাঠদান হয়। প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থীদের ছুটি না হওয়ার আগে দিবা শাখার কোনও শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে চলে আসলে, ঝুঁকি নিয়েই ব্যস্ততম রাস্তার অপেক্ষা করতে হয়।
এদিকে বিদ্যালয়ের ভেতরে বিশাল মাঠ ও শিক্ষার্থীদের মিলনায়তন থাকার পরও, তাদের সেখানে অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয় না। তাদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মংহাইসিং মারমা বলেন, ‘প্রতিদিন এভাবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাদের পাশ দিয়ে চলাচল করে নানা ধরনের যানবাহন। এরকম চলতে থাকলে যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
বান্দরবান ইজিবাইক (টমটম) চালকরা জানান, শিক্ষার্থীরা ইজিবাইকের সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। অনেক সময় চলন্ত গাড়ির সামনে এসে দৌড় দেয়। এতে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) দিপ্তী কণা দে বলেন, ‘প্রভাতী শাখার শিক্ষাদের ছুটি হওয়ার আগে কোনও দিবা শাখার শিক্ষার্থী পৌঁছে গেলে তাদের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। তবে তাদের বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করানো যেতে পারে। আমি বিষয়টি দেখবো।’
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’