খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল ফারুক মাদ্রাসা রোড এলাকার বাসায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের মা শিউলী বেগম বাদী হয়ে জামাতা মো. কামরুল ইসলাম ওরফে স্বাধীনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গৃহবধূ খুকুমনি ওরফে মনি (১৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, সোনাডাঙ্গা থানার আল ফারুক মাদ্রাসা রোডের মো. হাবিবুল্লাহর বাসায় ভাড়া থাকতেন শিউলী বেগম। প্রায় ছয় মাস আগে কামরুল ইসলামের সঙ্গে খুকুমনির বিয়ে হয়। মেয়ে ও জামাতা তার কাছেই থাকতো। এরই মধ্যে অসুস্থ মাকে দেখতে বাগেরহাটের শরণখোলায় যান শিউলী বেগম। তার স্বামী কাজের তাগিদে যশোরের কেশবপুরে গিয়েছিলেন। এই সুযোগে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টার দিকে খুকুমনির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় জামাতা কামরুল ইসলাম।
টের পেয়ে বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী এগিয়ে এলে ঘরের দরজা খুলে দেয় কামরুল। আগুনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে কামরুল জানায় চা বানাতে গিয়ে খুকুমনির গায়ে আগুন লেগেছে।
পরে অগ্নিদগ্ধ খুকুমনিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে তার মা ও বাবা খুলনায় এসে পরদিন চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যায় খুকুমনি।
শিউলী বেগম জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় মৃত্যুর জন্য কামরুল ইসলামকে দায়ী করেছে খুকুমনি। সে বলেছে, গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কামরুল। পরে ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি তাকে দাফন করা হয়েছে।