বগুড়া শহরে স্ত্রী শাকিলা খাতুনকে হত্যার প্রায় ২০ বছর পর স্বামী রতন মিয়ার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এ রায় দেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত রতন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি বিনয় কুমার দাস বিশু জানান, রতন মিয়া বগুড়া শহরের মধ্য পালশা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। সে ১৯৯২ সালে একই গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে শাকিলা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। গত ২০০২ সালের ২০ জুন শ্যালক সারোয়ার হোসেনের বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি যায় রতন। সেখানে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এতে রাগ করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে চলে আসে। পরদিন স্ত্রীকে চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসে। রাতেই কৌশলে পার্শ্ববর্তী গোদারপাড়া বাজারের কাছে ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে গলা ও পেটে ছুরিকাঘাত করে রতন পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরদিন সকালে সদর থানা পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে নিহতের ভাই সারোয়ার হোসেন পরদিন সদর থানায় রতনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ রতনকে গ্রেফতার করলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা একই বছরের ১৭ অক্টোবরে রতনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এদিকে, দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর রতন মিয়া জামিনে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপন চলে যায়। তার অনুপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যের পর আদালত প্রায় ২০ বছর পর তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।