স্বজনদের সঙ্গে দেখা হলেও হয়নি কথা
বাংলাদেশ

স্বজনদের সঙ্গে দেখা হলেও হয়নি কথা

করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ঈদের দিনে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্যরেখা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই এসেছেন এখানে। কেউবা ভারতে থাকা আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে কেউবা ঘুরতে এসেছেন। তবে সীমান্তের ওপারে থাকা আত্মীয়দের চোখে দেখা হলেও সুযোগ ছিল না কথা বলার।

মঙ্গলবার (৩ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকায়। অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, মিনি পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসযোগে এসেছেন তারা।

রংপুর থেকে আসা নাজমুন নাহার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ছোট দেবর ও জা রয়েছে ভারতে। তাদের সঙ্গে দেখা করতেই হিলি সীমান্তে এসেছি। এমনিতেই তাদের সঙ্গে দেখা হয় না। ফোনে কথাবার্তা হয়। কিন্তু সরাসরি তো দেখা হয় না। আজকে দেখা করার জন্যই এসেছিলাম। কিন্তু বিজিবি কাছে যেতে না দেওয়ায় দূর থেকেই তাদের সঙ্গে চোখের দেখা হলো ও ইশারার মাধ্যমে মনের ভাব আদান-প্রদান করা হলো। তবে কাছে যাওয়ার সুযোগ দিলে খুব ভালো হতো।’

রংপুর থেকে আসা সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘আমার বাপ চাচারা সাত ভাই। এর মধ্যে আমার বাবা শুধু বাংলাদেশে। বাকিরা ভারতে থাকেন। তাদের সঙ্গে দেখা করতেই মূলত হিলি সীমান্তে আসা। মেসেঞ্জারে বা হোয়াটসঅ্যাপে তাদের সঙ্গে কথা হয়। তাদের সঙ্গে সরাসরি দেখা হবে সেজন্যই আসা। দেখাও হয়েছে।’

স্বজনদের সঙ্গে দেখা হলেও হয়নি কথা

নবাবগঞ্জ থেকে আসা শাহিনুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে দুই বছর বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকার কারণে কোথাও বের হতে পারিনি। কিন্তু এবারে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং নিষেধাজ্ঞা না থাকায় শ্যালিকাদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী জায়গা।’

বগুড়া থেকে আসা সুমনা পারভীন বলেন, ‘ঈদের আনন্দটা উপভোগ করতেই হিলি সীমান্ত দেখতে এসেছি। এর আগে কখনও এই সীমান্ত এলাকা দেখা হয়নি। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। এত নিকটতম সীমান্ত এলাকা কোথাও দেখিনি। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হিলি রেল স্টেশন যা এই এলাকার সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’

স্বজনদের সঙ্গে দেখা হলেও হয়নি কথা

জয়পুরহাট থেকে আসা মাবিয়া আক্তার বলেন, ‘আজ ঈদ। সে কারণে বন্ধু-বান্ধবীরা এখানে বেড়াতে এসেছি। পরিবারসহ বন্ধু-বান্ধবী সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে।’

বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছরই ঈদ-পূজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সীমান্ত এলাকা দেখতে সাধারণ মানুষের ভিড় থাকে। এবারও ঈদের নামাজের পর থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। তবে ভিড় আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি। অনেকে সীমান্তের কাছে যেতে চাইছেন, কিন্তু অনুমতি না থাকায় সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। নির্ধারিত এলাকায় দাঁড়িয়ে যতটুকু দেখার তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’

Source link

Related posts

লোকালয়ে মেছোবাঘ, আটকের পর বনে অবমুক্ত

News Desk

‘বঙ্গবন্ধুকে সব সময় স্মরণ করা হবে’

News Desk

এখনও বিক্রি হয়নি ‘হিরো আলম’

News Desk

Leave a Comment