পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে ২০ ফুট প্রস্থের খালে ১০ ফুট প্রস্থের বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে নৌ যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পণ্য আনানেয়া নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের মুসল্লীবাড়ি থেকে বড়ইবাড়ি পর্যন্ত ডেস্ক কার্পেটিং রাস্তা ও খালের ওপর বক্স কালভার্ট নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। মেসার্স রূপালী কনস্ট্রাকশনের হয়ে সুমন মিয়া ও কতিপয় ব্যক্তি লাইসেন্সধারী ঠিকাদার না হয়েও সমঝোতার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক এ কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিগত সময়ে নির্মিত ২৩ ফুট দীর্ঘ লোহার পোল অপসারণ করে কবিরাজবাড়ীর সামনে মাত্র ১০ ফুট প্রস্থের বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে খাল দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকদের বেশিরভাগ পণ্য নৌকা কিংবা ছোট ট্রলারে নদী পথ হয়ে খাল দিয়েই আনা হতো। কিন্তু কালভার্ট নির্মাণে খালের মুখ ছোট হয়ে যাওয়ায় পণ্য আনানেয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। নৌকা-ট্রলার চলাচল করতে না পারলে নৌপথের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।। এদিকে, ওই রাস্তায় নির্মাণ কাজে ব্যবহার অনুপযোগী নিম্নমানের ইট ও ইটের উচ্ছিষ্ট (রাবিশ) ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে সুমন মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মীর আলী সাকির বলেন, ওখানে খাল মূলত ১০ ফুট, বক্স কালভার্ট নির্মাণ করতে গিয়ে খোঁড়ার কারণে খাল বড় দেখাচ্ছে। ডিজাইন অনুযায়ী বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি তখন স্থানীয়রা কোনো অভিযোগ করেননি এবং কাজ বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার যখন কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন তখন খাল পূর্বের ন্যায় ছিল। তাই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে অভিযোগের প্রশ্নই আসে না। এখন খালের অর্ধেক অংশে বক্স কালভার্ট নির্মাণে নৌ চলাচল বন্ধ হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘খাল ভরাট করে উন্নয়ন কাজ করার সুযোগ নাই। আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখব।
সূত্র : আমার বরিশাল ২৪