সীমান্তে বেড়েই চলছে লাশের মিছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে প্রাণ গেলো বাংলাদেশি আরেক কিশোরের। বর্তমানে নিহতের লাশ বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের কান্তিভিটা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় শ্রী জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) নামে এক কিশোর। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও দুজন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ধনতলা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তের মেইন পিলার ৩৯৩-এর পাশ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকালে ভারতীয় ডিংগাপাড়া এলাকায় বিএসএফের গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত জয়ন্ত কুমার সিংহ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফকির ভিঠা গ্রামের শ্রী মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে। আহত দুজন হলেন ফকির ভিঠা বেল পুকুর গ্রামের শ্রী মহাদেব কুমার সিংহ ও নিটালডোবা গ্রামের দরবার আলীর ছেলে বাংঠু মোহাম্মাদ।
আহতরা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে রংপুরে গোপনে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির। তিনি বলেন, ‘কী কারণে তারা সীমান্তে গিয়েছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহতের লাশ বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজির আহমদ বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। এ বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর মা সঞ্জিতা রানী দাশের সঙ্গে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল কিশোরী স্বর্ণা রানী দাশ (১৪)। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার বুকে গুলি লাগে। সে জুড়ীর নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। পরে বিএসএফ তার লাশ নিয়ে যায়। ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে। এ ঘটনার পর সপ্তাহ পেরোতেই আরেকটি লাশ উপহার দিলো বিএসএফ।