ক’দিন ধরে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস করছিল জনজীবন। সবাই যেন এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনায় ছিল। অবশেষে রাজধানীতে বৃষ্টি নেমেছে। আর এই বৃষ্টি যেন স্বস্তি নামিয়েছে গরমে অতিষ্ট নগরজীবনে।
সোমবার রাত সোয়া ৯টা দিকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি শুরু হয়। সাড়ে ৯টার দিকে পুরো ঢাকাকেই ভিজিয়ে দেয় বৃষ্টি। ঢাকায় রাতে বৃষ্টি নামলেও দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আরও আগে থেকেই বৃষ্টির খবর মিলেছে।
অবশ্য সকালেই বৃষ্টির আভাস দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলেছিলেন, বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, এর প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম, বরিশাল এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায়ও।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ কার্যত একই এলাকায় স্থির রয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ২৬ মে ভোর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূলের নিকট দিয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় পৌঁছতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।