বর্তমানে দেশের ৪০০ ল্যাবে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার মানিকগঞ্জ শুভ্র সেন্টারে দুস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রন হয়েছিল। তবে আবারো করোনা বেড়ে গিয়েছিল। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশের হাসপাতালগুলোতে দুই হাজার শয্যা প্রস্তুত ছিল। এখন ঢাকা শহরে রয়েছে আট হাজার শয্যা। সারাদেশে রয়েছে ১৩ হাজার শয্যা। গত এক বছরে সারাদেশে ১৩০টি হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে একটি মাত্র ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে সারাদেশে ৪০০ ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশে লকডাউন চলায় অনেক মানুষ কষ্টে আছে। সরকারিভাবে মানুষজনকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই সময় সমানুষের পাশে দাঁড়াতে মাজের বৃত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাই। লকডাউনের কারণে দেশে করোনায় আক্রান্তের হার ২৪ থেকে ৮ -এ নেমে এসেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ১১২ থেকে এখন ৫০ এর নিচে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়তে সময় লাগবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যেভাবে মানুষজন তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে দোকান-পাটে ভিড় করছে, তাতে আমি শঙ্কিত। ফেরিঘাটে যে হারে মানুষ যাচ্ছে তাতে কোনোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ১০০ জন মানুষের পরিবর্তে হাজার মানুষ এক ফেরিতে পার হচ্ছে। আমাদের বেখেয়ালীপনায় যেন দেশের ক্ষতি না হয় সেই দিকে সবাইকেই লক্ষ্য রাখতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ভারতে একটু অক্সিজেনের পেতে সে দেশের করোনা আক্রান্ত মানুষের স্বজনরা ছোটাছুটি করছে। কিন্তু অক্সিজেনের অভাবে করোনায় আক্রান্ত মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের দেশে ওষুধ ও অক্সিজেনের অভাব হয়নি। আমাদের দেশে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ টন অক্সিজেন লাগে। দেশে প্রতিদিন অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে ২০০ টন। আমাদের অক্সিজেনের অভাব হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখনো আমাদের হাতে কিছু টিকা মজুদ আছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি। এর মধ্যে একটা না একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। টিকা যারা নিয়েছি তাদের অনেকই মনে করেন তাদের করোনা হবে না। অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তাদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি আমাদের অবশ্যই মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমাদের অবস্থা ভারতের চেয়েও খারাপ হবে।