‘হানিফ বাংলাদেশি’ নামে খ্যাত মোহাম্মদ হানিফ বলেছেন, ‘হাতে অস্ত্র থাকলেই মানুষকে গুলি করা যাবে না, মনে রাখতে হবে এই অস্ত্র জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা।’ দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশের সম্পদ কোনও দল বা ব্যক্তির সম্পদ নয়, এটা আমার আপনার সম্পদ। জ্বালাও-পোড়াও করে দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না।’
রবিবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে একক প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন হানিফ বাংলাদেশি।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ এক মাস কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছে। তারা সরকারের পদত্যাগ বা সরকার পতনের আন্দোলন করেনি। শিক্ষার্থীদের এই দাবিকে দেশবাসী সমর্থন দিয়েছে। এমনকি সরকারও বলেছে তাদের এই আন্দোলন যৌক্তিক। তাহলে কেন এক মাস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে এর সমাধান করা হয়নি? আন্দোলন চলাকালীন সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে কটূক্তি করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে সরকার নোংরা রাজনীতি করতে চেয়েছে। অপরদিকে দুষ্কৃতকারীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নাশকতা করে আজ দেশের সর্বনাশ করেছে। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শত শত ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এই ব্যর্থতার দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারের। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।’ এ ছাড়া যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
হানিফ বাংলাদেশি বলেন, ‘সারা দেশে হাজার হাজার মানুষের নামে মামলা দিয়ে এখন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ আজ আতঙ্কগ্রস্ত ও বাকরুদ্ধ।’ কারফিউ শিথিল ও ইন্টারনেট সেবা চালুর (বিকাল ৩টা থেকে চালু হয়েছে) দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ হানিফ নোয়াখালী সদর উপজেলার মাইজদী গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। ২০১৯ সালের মার্চে তিনি ভোটাধিকারের দাবিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় একক পদযাত্রা করেন। একই বছর নির্বাচন কমিশন অফিসে পচা আপেল দিয়ে প্রতিবাদ জানান। এরপর তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন এবং জেলায় জেলায় লাল কার্ড প্রদর্শন করেন।