মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে দিনাজপুরের হিলিতে ইটভাটার ১৫ লাখ কাঁচা ইট পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ইটভাটা মালিকদের। এদিকে ইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বেতন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভাটাতে কর্মরত শ্রমিকরা। অপরদিকে ক্ষতির মুখে ইটের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে হিলিতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এই বৃষ্টি। সারা বিকাল বন্ধের পর রাতে আবারও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। যদিও শনিবার আকাশ মেঘলা থাকলেও নতুন করে বৃষ্টিপাত হয়নি। এতে করে ইটভাটাতে পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত কাঁচা ইটগুলো ভিজে নষ্ট হয়।
ভাটা শ্রমিক বৈদ্যনাথ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা বেশ পরিমাণ কাঁচা ইট প্রস্তুত করে রেখেছিলাম কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎ বৃষ্টিতে প্রস্তুত হওয়া ইট সব পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া নতুন আরও ইট বানানোর জন্য প্রস্তুত করা মাটিও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। এই ইট নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের যে মজুরি সেটা তো আর আমরা পাবো না। নতুন করে যে কাজ করবো, সেই পরিবেশও নেই। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিন কোনও কাজ হবে না ভাটাতে। এতে করে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
অপর শ্রমিক সুমন রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখন এটা আমাদের একটা কাজের মৌসুম আমরা এই সময়ে বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে ইটভাটাতে কাজে আসি। কিন্তু এই সময়ে হঠাৎ বৃষ্টিপাতের কারণে আমাদের কাজ কর্ম সব ভেস্তে গেলো। বৃষ্টির কারণে আগামী ১৫ দিন ভাটার কাজ বন্ধ থাকবে। শুধু এখানে না অন্য ভাটাতেও কাজ হবে না।
হিলির এমবি ব্রিকস ইটভাটা ম্যানেজার আবুল কাশেম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের বর্তমানে যে পরিস্থিতি সেটি খুব ভয়াবহ। কারণ মাঘ মাসে হঠাৎ বৃষ্টি হবে, এমন ধারণা ছিল না আমাদের। শুধু আমার নয়, বৃষ্টিতে প্রায় সব ভাটামালিকদের একই রকম ক্ষতিতে পড়তে হয়েছে। মাঠে ১০ থেকে ১৫ লাখের মতো কাঁচা ইট ছিল। সব বৃষ্টিতে ভিজেছে। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে যে অবস্থা তাতে করে আগামী ১৫ থেকে ২০দিন ভাটা চালু করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। পাশাপাশি সরকারি সহায়তারও দাবি জানান তিনি।