চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ইয়ামিন হোসেন (৯) নামে এক শিশুকে দশ টাকার জন্য গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আমবাগানে থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নাতি এবং দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে। সে কানাইডাঙ্গা বৃত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকতো ইয়ামিন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হত্যাকারী জাহিদ হাসান (১৬) পলাতক রয়েছে। সে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কানাইডাঙ্গা গ্রামের মেম্বার আশাদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলছিল ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন। সে সময় জাহিদ ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। ২০ টাকার মুড়ি কিনে অবশিষ্ট ১০ টাকা খরচ করে ইয়ামিন। বাকি টাকা ফেরত দিতে না পারায় তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে জাহিদ। এ সময় ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন এসে ঘটনা পরিবারের লোকজনদের জানায়। এরপর ঘটনাস্থল বাড়ির পাশের আম বাগানে গিয়ে ইয়ামিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি।
ওসি বলেন, ‘শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারীকে আটক করতে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’