বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার ১১ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ দিয়েছি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। চলতি মাসে এই তিন জেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবার প্রতি ২৩ কেজি ত্রাণ দেয়া হয়। রোববার (২৭ জুন) জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান সংগঠনটির হেড অব ইমেজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সালমান খান ইয়াসীন।
ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবারগুলোর মাঝে চাল ডাল, আটা, আলু লবণ, এক সেট জামা দেয়া হয়। এই কার্যক্রমে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে বলে জানান সালমান। এদিকে ফের করোনার প্রকোপ বাড়ায় সংগঠনটির ৫৫ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালে আসন ফাঁকা নেই।
সালমান বলেন, অপেক্ষাকৃত সুস্থ রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। আবার যেহেতু আমাদের আইসিউ সাপোর্ট নেই। ক্রিটিক্যাল রোগীদেরও ফিরিয়ে দিচ্ছি। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে গত বছরের মত কুরবানি কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান সালমান।।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দাতাদের পক্ষে আমরা কুরবানি দিয়ে থাকি। ঢাকা চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এরকম কিছু যায়গায় আমরা কুরবানি করি। প্রবাসীরা যারা দেশে কুরবানি দিতে চায় আমরা তাদের হয়ে কুরবানি করে দেই। উনার আমাদের অনুদানটা দিয়ে দেন, আমরা গবাদিপশু কিনে, উনাদের নামে কুরবানি করে দেই। তাদের ঘরে মাংস পৌঁছে দেই।
গত বছর প্রায় এক হাজার বেশি নামের বা অংশের কুরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে বিদ্যানন্দের এই কর্মকর্তা বলেন, এছাড়া নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে আমরা পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মাংস বিতরণের পাশাপাশি এবং ঈদের দিন রান্না করে মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করে থাকি। এবার ও গত বছরের মত কিছু করার ইচ্ছা আছে তবে করোনার কারণে সেটা সম্ভব হবে না হয়তো বলে মন্তব্য করেন তিনি।