ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক ঘণ্টা আগে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে। উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের ১৯ নম্বর শাকরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
বুধবার (১৮ মে) বিকাল ৩টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ছুটি দিয়েছেন শিক্ষকরা। শ্রেণিকক্ষে কোনও শিক্ষার্থী নেই। এর আগেই দুজন শিক্ষক ছাড়া অন্যরা বাড়ি চলে গেছেন। তবে কয়েকজন প্রাইভেট শিক্ষার্থী একটি শ্রেণিকক্ষে বসে আছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৩টা বাজার আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মাহবুবুর রহমান। শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াতে প্রতিদিন এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে তাদের ছুটি দেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রতিদিন প্রাইভেট পড়ান সহকারী শিক্ষক সুজন কুমার রাহা ও মাহবুবুর রহমান।
কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন, শিক্ষকদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। পরীক্ষায় ভালো ফল করানোর কথা বলে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলেন শিক্ষকরা। এজন্য অনেক অভিভাবক প্রাইভেট পড়ান সন্তানদের। ক্ষতি হয় অন্য শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এজন্য যে যার মতো করে চলে গেছে। আমি ছুটি দিইনি।’
শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষক সুজন কুমার রাহা বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। এরপর থেকে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াবো না।’
তবে এদিন প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বণিককে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। তবে সুজন কুমার রাহার দাবি, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এসেছেন। বিকাল ৩টার কিছুক্ষণ আগে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন খানম বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া অন্যায়। সেই সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে কোনোভাবেই প্রাইভেট পড়ানো যাবে না। আমি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেবো।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রাশেদ মামুন বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ। ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’