খুলনার সার্কিট হাউস মাঠে জনসভাস্থলে পৌঁছে ২২ প্রকল্পের উদ্বোধন ও দুইটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল ৩টা ১৮ মিনিটে সভাস্থলে পৌঁছে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো হলো- নগরের সাউথ সেন্ট্রাল রোডে একাত্তরের গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন, শামসুর রহমান রোডে সিভিল সার্জনের অফিস ভবন ও বাসভবন, পাইকগাছা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ দফতর সংস্কার ও আধুনিকায়ন, বিএসটিআইর ১০ তলা আঞ্চলিক অফিস ভবন, বিটাকের ১০ তলাবিশিষ্ট নারী হোস্টেল ভবন, পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনের (সিভিল, স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিক) কাজ, দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চারতলা ছাত্র হোস্টেল।
সুন্দরবনে শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু ভবন, যার মধ্যে আছে ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চমতলা একাডেমিক কাম চারতলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি এল বি কে ডিগ্রি মহিলা কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, নজরুলনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ছয়তলা একাডেমিক ভবন, আড়ংঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবন।
ডুমুরিয়া উপজেলার চরচরিয়া শিবনগর সড়কে ভদ্রা নদীর ওপর ৩১৫ দশমিক ৩০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু, খুলনা নগরে খালিশপুর বিআইডিসি রোডে ড্রেন, ফুটপাতসহ প্রশস্ত রাস্তা, নগরের দৌলতপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালকের ছয়তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অফিস ভবন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে- নগরীর মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণকাজ এবং দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একাডেমিক কাম চারতলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবনের নির্মাণকাজ।