দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৭১ জন। আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে করোনায় টানা চারদিন শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর আগে সর্বোচ্চ ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছিল গতকাল। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৭ জনের। মোট শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জন। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ১৫২ জনের।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গত বছরের শেষের দিকে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসলেও নতুন বছরের শুরুতে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।
করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সে সময় জারি করা হয় ১৩ দফা বিধিনিষেধ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সাত দিনের এ কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিব পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
পরে দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘২২ থেকে ২৮ এপ্রিল এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১২ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনের ১৩ বিধি-নিষেধ আরও এক সপ্তাহের জন্যও কার্যকর থাকবে।’
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস।