পদ্মা সেতু হয়ে প্রথমবারের মতো যশোরের শার্শার বেনাপোল থেকে ছাড়লো যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে ৩০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। তবে যাত্রাপথে ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্ঠিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে শেষ গন্তব্যস্থল ঢাকার কমলাপুল রেল স্টেশনে পৌঁছাবে।
রেল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশন থেকে ৩০০ এবং অন্যান্য স্টেশন থেকে ৫০ জনসহ মোট ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে। পদ্মা সেতুর এই রুটে ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ঢাকায় যেতে একদিকে যাতায়াতের দূরত্ব কমবে এবং সময়ও কম লাগবে।
এর আগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করতো।
অন্যদিকে বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৪৮০, এসি চেয়ারে ৯২০, এসি সিটে এক হাজার ১০৪ ও এসি বার্থে ভাড়া এক হাজার ৬৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে যাত্রীরা উচ্ছ্বসিত। সবার মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। প্রথম দিনের সাক্ষী হতে পেরে আবেগাপ্লুত যাত্রী ও চালক। তবে বেনাপোলের সঙ্গে নড়াইল হয়ে ঢাকার রেল প্রকল্প পুরোপুরি চালু হলে পাল্টে যাবে বেনাপোল বন্দরের চিত্র। মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে ঢাকায়। ব্যবসা-বাণিজ্যে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, রেলব্যবস্থা চালু হলে সময় বেঁচে যাওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে।
বেনাপোল রেল স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন বলেন, বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসটি রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে বেনাপোলে পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটিতে আগের থেকে অনেক সময়ে পৌঁছাবে। সপ্তাহে বুধবার ব্যতীত ছয় দিনই চলাচল করবে ট্রেনটি।