ঢাকা থেকে গাজীপুর যেতে মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। প্রতিদিন এই সড়ক পাড়ি দিতে দুই থেকে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। তবে শিগগিরই এই দুর্ভোগের শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমি জানি গাজীপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই পথে যাতায়াতে দুই থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বিআরটি’র নিচ দিয়ে চলাচলে আর দুর্ভোগ হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা খুব কাছাকাছি এসে গেছি, কাজ সমাপ্তের পথে। আপনারা ৩০ মিনিটে গাজীপুর থেকে ঢাকা চলে আসবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় গাজীপুরে আওয়ামী লীগে বিরোধ ও নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাজীপুর আওয়ামী লীগে কেন বিরোধ থাকবে, কেন কোন্দল থাকবে? কেন নির্বাচনের দিন নৌকার বিরোধিতা থাকবে? এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গাজীপুরের সঙ্গে এটা মানায় না। আজ ময়েজ উদ্দিন, আহসান উল্লাহ মাস্টার, রহমত আলী গাজীপুরে নেই। কিন্তু গাজীপুরের মানুষ তো আছে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ গাজীপুর আওয়ামী লীগ দেখতে চান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা কাউন্সিলে নয়া নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। আমি, আমাদের ড. আব্দুর রাজ্জাক, আমাদের মির্জা আজমসহ নেতৃবৃন্দ আছেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আশা করি একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় দলে প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপিসহ উপস্থিত নেতারা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন উদ্বোধন করেন।
পরে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ ময়েজ উদ্দিন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ও অ্যাডভোকেট রহমত আলীসহ প্রয়াত সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।