দীর্ঘ সাত মাস পর চালু হয়েছে বন্ধ থাকা বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। পাঠদানও শুরু হয়েছে এসব বিদ্যালয়ে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায় রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম বিভিন্ন পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় পাহাড়ের এসব শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, কেএনএফের আতঙ্ক কাটিয়ে দীর্ঘ সাত মাস পর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছেন ক্যপ্লাং পাড়া, পাইক্ষ্যং পাড়া, আর্থা পাড়াসহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সম্প্রতি কেএনএফের সঙ্গে শান্তি কমিটির বৈঠকের পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজ গ্রামে ফিরে আসেন বিভিন্ন পাড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দারা। এ ছাড়াও স্বাভাবিক হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল, কৃষিপণ্য পরিবহন ও স্থানীয়দের যাতায়াত। এতে স্বস্তি ফিরেছে দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে। আর দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে আসতে পারায় খুশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, ‘বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। তারা এখন অনেক খুশি।’
রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহ্লাঅং মার্মা জানান, শান্তি আলোচনার পর থেকে বন্ধ থাকা বিদ্যালয়গুলো চালু হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয়দের জীবনমানও স্বাভাবিক হচ্ছে। পাহাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরছে।
এদিকে, দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের কথা জানান সেনা বাহিনীর বান্দরবান সদর জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা উপকরণ ও শীত বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি রাস্তাঘাটও সংস্কার করা হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কেএনএফের আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায় রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ছয়টিরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া বিভিন্ন পাড়া থেকে পালিয়ে যায় শতাধিক পরিবার।