Image default
বাংলাদেশ

আমতলীতে রাতের জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা

বরগুনার আমতলীতে ৫.২২ কিলোমিটার বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছসে ওইসব ঝুকিপূর্ণ বাঁধগুলো আরো নরবরে হয়ে গেছে। আজ (বুধবার) পূর্ণিমার রাতের জোয়ারে ওই বাঁধগুলো ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানাগেছে, বরগুনা জেলার ৬৫ স্থানের প্রায় ২৯ কিলোমিটার বাঁধ নদীতে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে। গত বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে জেলার ২১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। তার মধ্যে আমতলী উপজেলায় ৫.২২ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। অর্থাভাবের কারনে এসব ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধগুলোর সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জো’য়ের কারনে সাগর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ওই ঝুকিপূর্ণ বাঁধগুলো নরবরে করে দিয়েছে। পূর্ণিমার জো’তে রাতের জোয়ারের পানির চাপে যে কোনো সময় ওই সব বাঁধ বিলীন হয়ে যেতে পারে।

উপজেলার বৈঠাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর থেকেই আমাদের এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধগুলোর খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে আবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জো’য়ের কারনে পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধটি নরবরে হয়ে পড়েছে। রাতের জোয়ারে কি হয় বলা যায় না। এ কারনে এই এলাকায় হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি ও আতংকের মধ্যে রয়েছেন। আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলী গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান, ইয়াস ও পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে আমাদের এলাকার ভেরীবাঁধটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মাত্র ৫০০ ফুটের একটি ভেরীবাঁধের নির্মিত হলে বালিয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওই এলাকা বড় মসজিদ ও ৪০টি পরিবার পানিবন্দির হাত থেকে রক্ষা পেত। এখন প্রতিদিন দু’বার জোয়ারে গ্রামটি পানিতে তলিয়ে যায়।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম মুঠোফোনে বলেন, আমতলী উপজেলায় ৫.২২ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এসব ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধগুলোর সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জো’য়ের পানিতে ওই বাঁধগুলো নরবরে করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা জিওব্যাগ, বালু এবং মাটি প্রস্তুত করে রেখেছি। যদি কোনো এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সূত্র :বরিশাল খবর ২৪

Related posts

স্বামীর অ্যাসিড নিক্ষেপের ৮ দিন পর স্ত্রীর মৃত্যু

News Desk

পদ্মা সেতু হয়ে পোল্যান্ড যাচ্ছে ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য

News Desk

দ্রুত শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

News Desk

Leave a Comment