চট্টগ্রামে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা বর্জ্য মজুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে দুই জনকে আসামি করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোমানা আক্তার বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) ও চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় খাজা ট্রেডিং (ইউনিট-১ ও ২) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. জুবের আলম (৩৮) ও তার ভাই কারখানার ম্যানেজার মো. জুনায়েদ হোসেনকে (৩০) আসামি করা হয়। পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানায়, নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন হাজীরপুল মাইজপাড়া এলাকায় অবস্থিত খাজা ট্রেডিং (ইউনিট-১ ও ২)-এ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদফতর। অভিযানে কারখানা দুটি থেকে এক হাজার ৫৯৪ কেজি ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য (ইঞ্জেকশনের খালি ভায়াল, ব্যবহার্য সিরিঞ্জ, সুঁই, ক্যাথেটার, রক্ত সঞ্চালন ব্যাগ, টিউব, ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও ধাতব কোটা) জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটিতে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ২৫-৩০ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিক চিকিৎসা বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজ করছে। কারখানা দুটির কোনোটিতেই পরিবেশ ছাড়পত্র এবং চিকিৎসা বর্জ্য মজুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স নেই। জব্দকৃত ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্যগুলো ইনসিনারেটরের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়।’