কক্সবাজারে ৩০ পদের সামুদ্রিক মাছ খেলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় আর জে-সঞ্চালক মীর আফসার আলি। বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে ইউটিউবের জন্য তৈরি বিশেষ ফুড ভ্লগিং সিরিজের কাজে কক্সবাজারে আসেন মীর ও তার সঙ্গীরা।
পরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘ঢাকায় পর-পর দাওয়াতের চাপ আর নিতে না পেরে পালিয়ে এলাম কক্সবাজার আজ সকালের বিমানে। এখানেও নিস্তার নাই! পালংকিতে (রেস্টুরেন্ট) মারকাটারি আয়োজন। খাবারের সমুদ্র পেরিয়ে আর কোথায় পালাবো আমরা?’
তবে কক্সবাজার সফরকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি মীর আফসার আলি।
মীরের সফরসঙ্গী রিয়াজ বলেন, ‘ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেমেই প্রথমে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে যায় ফুডকা টিম। সেখানে কিছু সময় কাটানোর পর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে সবাই যাই ইনানীর পালংকি রেস্টুরেন্টে। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর আসি রয়েল টিউলিপে। সেখান থেকে আবার পালংকি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাই দুপুরের খাবার।’
পালংকি রেস্টুরেন্টের রেসিপি প্রধান অসীম দেবনাথ বলেন, ‘মীর ও তার সফরসঙ্গীদের দুপুরের খাবারে ৩০ ধরনের সি-ফিশের আইটেম ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ক্র্যাব গ্রিল ফিস, অক্টোপাস গ্রিল, স্কুইড গ্রিল, রূপচাঁদা গ্রিল, কোরাল বারবিকিউ, চিংড়ি গ্রিল, চিংড়ি ঝোল, লইট্টা ফ্রাই, স্টিম ফিস, সি ফুড সালাদ, পাহাড়ি মুড়ি, মাটন চুইঝালসহ আরও অনেক আইটমে। কক্সবাজার এসে এসব খাবারের পাশাপাশি ফুড ভ্লগিংয়ের জন্য ভিডিও করেছেন তারা।’
এদিকে, সবসময় যে খাবারেরই ছবি তুলতে হবে এমন তো কোনও কথা নেই। তার এক সফর সঙ্গীর সঙ্গে কক্সবাজার সফরকালের শেষ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বুধবার বিকালে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই শিল্পী ও সঙ্গীরা।
গত ২৫ মার্চ ঢাকায় পা রাখেন ‘মীরাক্কেল চ্যালেঞ্জার্স’র মধ্যমণি মীর আফসার আলি। তখন থেকেই ঘুরছেন ঢাকার অলিগলি। সবশেষে এলেন কক্সবাজারে। কারণটা আর জে বা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা নয়, ফুড ভ্লগিং ‘ফুডকা’।