গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহের অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের বন্যায় কক্সবাজার জেলায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করেছে জেলা প্রশাসন। টাকার অঙ্কে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩২ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার ৫৯২ টাকা।
জেলার ৭১টি ইউনিয়নের মাঝে ৫১ ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেখানে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নের সংখ্যা ২৪টি। এর মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ৭২৩ দশমিক ১৭৮ বর্গ কিলোমিটার। এ সময় পাহাড়, ঘরের দেয়াল ধস ও পানিতে ডুবে মারা গেছেন ২৪ জন। পাহাড় ধসে আহত হয়েছেন ১০ জন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস এসব তথ্য দিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের তথ্য মতে, ৩২ হাজার ৭৩৭টি খানা, ২৪টি ব্রিজ ও কালভার্ট, ২০৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার রাস্তা, ১৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার বাঁধ, ১০ হাজার ২২২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ৯৯টি গবাদি পশু, হাস ও মুরগি ভেসে গেছে ২৬ হাজার ৩৪৭টি, ৭ হাজার ৩৫৭ হেক্টর শস্যখেত ও বীজতলা, ৫ হাজার ৪৯৫ হেক্টর মৎস্য ঘের, শূন্য দশমিক ১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন, আটটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২ হাজার ৭১টি নলকূপ এবং ৬ হাজার ৭২৪টি ল্যাট্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বন্যায় দুর্গতদের ৩০০ মেট্রিক টন চাল, আড়াই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং পাহাড় ধসে মারা যাওয়াদের জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে সরকারি সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ৩৩৩-তে কলকারীদের যাচাই করে খাদ্য সহায়তা দিতে এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সরকারের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে আইএনজিও এবং এনজিওগুলো বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতা দিচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, প্লাবন ও পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মেরামতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।