Image default
বাংলাদেশ

করোনায় লোকসানের মুখে ফরিদপুরের একমাত্র তিতির খামার

তিতির পালন সহজ হওয়ায় ফরিদপুরের শহরতলীর গঙ্গাবর্দিতে বাণিজ্যিকভাবে বিশাল একটি খামার গড়ে তুলেছেন মো. শাজাহান মোল্যা। বর্তমানে তার খামারে এক হাজারের বেশি তিতির রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। এই ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।

ফরিদপুরে এই খামারকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষের। খামারে কাজ করে তাদের সংসারেরও সচ্ছলতা ফিরেছে। কিন্তু গত বছর থেকে মহামারি করোনা ও লকডাউনের কারণে লোকসানের মুখে খামারি শাজাহান মোল্যা। সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

খামারের শ্রমিকরা বলেন, আগে আমরা ভালোই ছিলাম। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাচ্চা কিনতে খামারিরা আসতেন। কিন্তু গত একবছরের বেশি সময় ধরে বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে না। এজন্য মালিকের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও ক্ষতির মধ্যে আছি।

শাজাহান মোল্যা বলেন, ‘খামার করে ভালোই ছিলাম। গতবছর থেকে করোনার কারণে ক্ষতির মধ্যে পড়ে গেছি। ঠিকমতো বাচ্চা বিক্রি করতে পারছি না। সরকার বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা দিলেও আমরা এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাইনি। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া আমার এই খামার টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সরকার যেমন অন্যান্যের প্রণোদনা দিয়েছে, তেমনি তিতির খামারিদের প্রণোদনার আওতায় আনলে আমরা উপকৃত হব।’

ফরিদপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লাহ মো. আহসান বলেন, ‘করোনার কারণে খামারিরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিতির পাখির খামারের জন্য কোনো প্রণোদনা আসেনি। আর সে কারণেই তিতির খামারিকে প্রণোদনার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে আগামীতে আমাদের এডিডিপি প্রকল্পের উৎপাদক গ্রুপের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া আমরা এসব খামার নিয়মিত পরিদর্শন ও ভ্যাক্সিন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’

Related posts

কুষ্টিয়া করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু

News Desk

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ

News Desk

৩৬ টাকা দরে আলু বিক্রি, কেনা যাবে সর্বোচ্চ ৫ কেজি

News Desk

Leave a Comment