কুমিল্লায় সেপটিক ট্যাংকে ইমামের স্ত্রীর লাশ, পাহাড়ে শিশুর
বাংলাদেশ

কুমিল্লায় সেপটিক ট্যাংকে ইমামের স্ত্রীর লাশ, পাহাড়ে শিশুর

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় মো. রিফাত হোসেন (৯) নামে এক শিশুর গলাকাটা এবং চৌদ্দগ্রামে বসতঘরের পেছনে নলকূপের পাশের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে শাহিদা বেগম (৬৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের দুজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেইসঙ্গে হত্যাকারীরা লাশ গুম করতে চেয়েছিল।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর দক্ষিণের চন্ডিমুড়া এলাকার লালমাই পাহাড় থেকে শিশুর এবং চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের ঘরের পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। 

রিফাত হোসেন পার্শ্ববর্তী বরুড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মো. আব্দুর রশিদের ছেলে। শাহিদা বেগম ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের ইমাম মাওলানা আব্দুল মমিনের স্ত্রী।

স্বজনদের বরাত দিয়ে সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত শনিবার রিফাত বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে রবিবার বিকালে রিফাতের পরিবার থানায় অভিযোগ দেয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চন্ডিমুড়ার লালমাই পাহাড়ে গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।’

ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি আমরা।’

শাহিদা বেগমের স্বামী মাওলানা আব্দুল মমিন বলেন, ‘আমি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করি। প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরে ইমামতির জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। তখন আমার স্ত্রী নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাড়িতে আমরা দুজনই থাকি। নামাজ শেষ করে সকাল ৭টার দিকে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে খোঁজ করি। কোথাও না দেখে একপর্যায়ে ঘরের পাশের টিউবওয়েলের কাছে তার পায়ের জুতা ও পরনের কাপড় দেখি। টানাহেঁচড়ার দাগ দেখে শাবল এনে সেপটিক ট্যাংকের স্লাব খুলে দেখি, স্ত্রীর লাশ। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। আমার স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

নিহতের ছেলে পল্লী চিকিৎসক মাছুম বিল্লাহ ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা পুরাতন বাড়িতে থাকি। নতুন বাড়িতে শুধুমাত্র বাবা-মা থাকেন। কী কারণে কে বা কারা মাকে এভাবে হত্যা করেছে, তা বলতে পারছি না। যারাই এ ঘটনায় জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা।’

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পিবিআইও তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’

Source link

Related posts

২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ

News Desk

বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সেই তামান্না 

News Desk

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিললো রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

News Desk

Leave a Comment