কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন ও উপসর্গে চারজন মারা গেছেন।
রোববার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই হাসপাতালে বেশ কিছুদিন কোন শয্যা ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে না। শয্যা সঙ্কটের কারণে রোগীদের ঠাঁই হয়েছে বারান্দার মেঝেতে। সেখানেও পা ফেলার কোন জায়গা নেই, গোটা হাসপাতাল এখন রোগীতে ঠাসা। আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৮৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৮৭ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৯৮ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, ‘হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, আয়া, ক্লিনারসহ জনবল ও জায়গার সংকট দেখা দিচ্ছে। এত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার মত সামর্থ্য এই হাসপাতালের নেই। অসংখ্য রোগীকে তারা সাপোর্ট দিতে পারছেন না। রোগীদের যে ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া দরকার তার ব্যবস্থা এখানে নেই। গত এক সপ্তাহে জেলায় প্রায় দুই হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ।’
এদিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৮৯টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৬০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন। মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১০ জনে।