দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। ভোট সামনে রেখে এখন গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। দলীয় নির্বাচনি ইশতেহারের পাশাপাশি নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের। এবার এমপি নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০টি উন্নয়নমূলককাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ১০ প্রতিশ্রুতি
১. পাহাড়ে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে সবার উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ।
২. নির্বাচনি এলাকার মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে লক্ষ্মীছড়ি এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলো। আগামীতে দুর্গম এলাকাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন।
৩. নির্বাচনি এলাকার ৯ উপজেলার গ্রামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য মিনি স্টেডিয়ামসহ ছোটখাটো মাঠ তৈরি।
৪. সবার স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫. খাগড়াছড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ।
৬. বেকারত্ব দূরীকরণে পার্বত্য এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ।
৭. বাল্যবিবাহ রোধে টেকসই পদক্ষেপ ও নারীর ক্ষমতায়নে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়ন।
৮. পাহাড়ের বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ এবং পরিবেশদূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ।
৯. পর্যটন শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন।
১০. পাহাড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২৯৮ নম্বর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন। এর আগে ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নৌকার এই প্রার্থী।
তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়ি ছিল পিছিয়ে পড়া জনপদ। আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসন আমলে পাহাড়ি এই জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়নই নয়, অবকাঠামোগত প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। জেলা-উপজেলার অনেক রাস্তাঘাট ও সেতু-কালভার্ট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। এবার এমপি হলে পিছিয়ে পড়া যেসব এলাকা রয়েছে সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করবো। আশা করছি, এবারও জয়ী হবো।’