বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের অনুমতি না পেয়ে এখন বিশেষ ‘উপায় খুঁজছে’ দল ও তার পরিবার। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ঢাকায় তার সর্বোচ্চ উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১০ মে) একটি গণমাধ্যমে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন ঢাকায় সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিদেশে নেয়ার জন্য আইনগত বা অন্য কোনো উপায় আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো জোর করে তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারব না। বিষয়টি সরকার একেবারে না করে দিয়েছে। সুতরাং আমরা চেষ্টা করব, এখানেই (দেশে) তাকে সর্বোচ্চ উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য। একইসঙ্গে অন্য কোনো অপশন আছে কি-না বা আইনগত অথবা অন্য কোনো উপায়, সেটাও আমরা দেখব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্যান্য অপশনগুলো আমরা ভেবে দেখব এবং সেগুলো আমরা আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করছি— সরকারের এখতিয়ারে থাকার পরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়নি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘দেশের সব মানুষই আশা করেছিল, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এই অবনতির কথা ভেবে সরকার মানবিক কারণে হলেও তাকে বাইরে যাওয়ার অনুমতিটা দেবে। দুঃখজনক হলো- সরকার একটা ধারণা দিয়েছিল যে, আমরা মানবিক কারণে এটা দেখব। কিন্তু শেষমুহূর্তে তারা আইনের কথা বলে এটা নাকচ করে দিয়েছে।’