দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস রয়েছে। যার বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এমন অবস্থায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’।
ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদফতরের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে, যা প্রতিদিনই শক্তি বাড়াচ্ছে। এটি পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। আর আছড়ে পড়ার আগে ঘূর্ণিঝড়টি ২০২০ সালের আমফানের মতো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে।
অধিদফতর আরও জানিয়েছে, আগামী ২৩ থেকে ২৫ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে। যা পরে দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশ উপকূলে প্রবেশ করতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঝড়টির অবস্থা বোঝা যাবে। বর্তমানে এর গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনে স্বস্তি দিয়েছে মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরের পর বৃষ্টি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ায় মানুষ মুক্তি পেয়েছে অসহ্য গরম থেকে। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. রুহুল কুদ্দুস ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের অনেক এলাকাতেই বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার পুরো বিভাগজুড়েই বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে ‘অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়া তওকতের আঘাতে অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এই ঝড়ের তাণ্ডবে পশ্চিম উপকূলের গুজরাট প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা-ঘাট, অবকাঠামো ও কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।