পর পর টানা চারদিন চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের উর্ধ্বগতি থাকার পর গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে শনাক্তের পরিমাণ। তবে এই সময়ে আবারও বেড়ে গেছে মৃত্যুর পরিমাণ। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১৬ জন করোনা আক্রান্তের দিনে প্রাণহানি ঘটেছে উপজেলার ৩ করোনা রোগীর।
এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৫২ হাজার ৩০৭ জন। এদের মধ্যে নগরের ৪১ হাজার ৮০৯ জন এবং উপজেলার ১০ হাজার ৪৯৮ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৯৩ জন। যাদের মধ্যে ৪৩২ জন নগরের এবং ১৬১ জন উপজেলার বাসিন্দা।
শুক্রবার (২১ মে) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী এইদিন চট্টগ্রামে ৮টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে মিলে ১ হাজার ১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়। তাতে নগরের ৮৩ জন এবং উপজেলার ৩৩ জনের শরীরে করোনার খোঁজ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন নগরের এবং ১৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৩১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ২২ জন। যাদের মধ্যে ১৮ জনই নগরের, বাকি ৪ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এদের সবাই নগরের অধিবাসী।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ২০ জন এবং উপজেলার ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদের ৭ জনই নগরের, ১ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের করোনা শনাক্ত পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ৮ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার ল্যাবে ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার।
অন্যদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৩০ নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। এদিন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
উপজেলায় শনাক্ত ৩৩ জনের মধ্যে হাটহাজারী উপজেলাতেই শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন। এছাড়া বোয়ালখালী এবং ফটিকছড়িতে ৫ জন করে, রাউজান এবং সীতাকুণ্ডে ৪ জন করে, আনোয়ারায় ৩ জন এবং মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ২ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়।