চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ভারতফেরত রোগীর নমুনায় আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক খলিলুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ভারতফেরত ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের করোনাভাইরাস টেস্টের নমুনা সিভাসু’র ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে পাঁচজনের করোনা নেগেটিভ এবং একজনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।
পরে সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় এবং পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টারের আর্থিক সহায়তায় প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী করোনায় আক্রান্ত রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন বিষয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ওই গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, ঢাকার সহযোগিতায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনা থেকে SARS-Cov-2 বা নোভেল করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ভারতফেরত কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনায় আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ৬শ ছাড়াল
এদিকে, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৭৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৩ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৫২ হাজার ৭৩৬ জন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, চট্টগ্রামের সাতটি ও কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ৭৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৬৪ জন আর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ২৯ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হিসেবে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৭৩৬ জন। যার মধ্যে নগরীর ৪২ হাজার ১১৬ জন আর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ১০ হাজার ৬২০ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর আগের দিন সোমবার মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ছিল একজন ও বিভিন্ন উপজেলার ছিলেন তিনজন।