‘জেগে উঠুক কবির মনন-মনীষা, লেখা হোক শ্রেষ্ঠ কবিতা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে টাঙ্গাইলে স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে এবং ব্যুরো বাংলাদেশের সৌজন্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কবিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট সালেক উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কবি ড. তারেক রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. পিনাকী দে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি মাহমুদ কামাল। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কবি অনিক রহমান বুলবুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাশীনাথ মজুমদার পিংকু। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আবু মাসুমের ৭৫তম জন্মদিনও পালন করা হয়।
৩৭৫তম স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতায় ৪০ জন কবি অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ কবি নির্বাচিত হন পাঁচ জন। তারা হলেন- জিনিয়া বখশ, সাব্বির হোসাইন, সৃষ্টি সোহা, শাহাদত হোসাইন ও জহিরুল ইসলাম জহির। শ্রেষ্ঠ আবৃত্তির পুরস্কার পান রুদ্র মোস্তফা ও এম এ বাছেদ।
কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট সালেক উদ্দিন বলেন, ‘চর্চার মাধ্যমে এখনকার যুগের কবিরা উৎসাহিত হচ্ছেন। আরও কাব্য চর্চার জন্য, সাহিত্য চর্চার জন্য, নতুন কিছু সৃষ্টির জন্য উৎসাহিত হচ্ছেন। এখানে গুণী লোকজন অতিথি হয়ে এসেছেন, সভাপতিত্ব করেছেন, তারা যে জ্ঞানগর্ব বক্তব্য রেখেছেন; সাহিত্য এবং কবিদের ওপরে এতে নতুন কবিরা উপকৃত হচ্ছেন। আমার ধারণা এটা চমৎকার প্রচেষ্টা এবং সফল একটি আয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি মাসে দুবার করে অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটা যে কতটা কল্যাণকর এবং উৎসাহ পাচ্ছে, সবাই মিলে একটি উৎসবের মতো। কারণ এখানে প্রতি মাসে দুটি সাহিত্য সভা হয়। আমার খুব ভালো লাগছে এখানে অতিথি হিসেবে এসে। এতগুলো আলোকিত মানুষ, কবি-সাহিত্যিক একটি মানুষও অনুষ্ঠান ছেড়ে যাননি। তারা ধৈর্যসহকারে কবিতা পড়েছেন, বিজ্ঞ লোকদের বক্তব্য শুনেছেন। এটা সাহিত্য সংসদে বড় আয়োজন বলবো। কারণ টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদ এই সাহিত্যের ধারাটাকে তুলে ধরার জন্য এবং এটাকে চালু রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।’
প্রসঙ্গত, স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতাটি ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতি মাসের ১ তারিখ এবং ১৫ তারিখে দুবার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিখ্যাত কবিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।