টানা ১৩০ দিন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার পর কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের কর্মীরা। গত ৩০ জুন প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বেকার হয়ে পড়েন প্রকল্পের ৫১২ জন তরুণ। এর প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচিতে নামেন তাঁরা। চাকরি ফিরে পাওয়ার আশ্বাসে আজ রোববার কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
কর্মসূচির আয়োজক ইউনিয়ন প্রকল্পের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ পুনরায় বাড়ানো হতে পারে। প্রকল্পের প্রশিক্ষিত জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য দপ্তরসংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন প্রকল্পটির সাবেক পরিচালক। দ্রুত তাঁদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী জিল্লুর রহমান খান বলেন, চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল এইচএসসি পাস। কিন্তু এই প্রকল্পে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ তরুণেরা যোগ দিয়েছিলেন। ফলে প্রকল্পটি কৃতিত্বের সঙ্গে এগিয়ে যায়। মাঠ থেকে সাড়া পাওয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে এর মেয়াদও বাড়ে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৬তম গ্রেডে সরকারি নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ৭ বছর চাকরি করে সরকারি চাকরির বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রকল্প বাতিল হওয়ায় তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।
প্রকল্পের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বর্তমানে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পটি তৃতীয় পর্যায়ে পুনরায় শুরু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শুরু হতেও পারে, না-ও পারে। যদি দ্রুত হয়, ডিসেম্বরে হতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর বিষয়টি নির্ভর করবে।
প্রকল্প থেকে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা যায় কি না, জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সাধারণত যায় না। এ বিষয়ে বিচারালয়ের একটি আদেশের কারণে আমরা আটকে আছি। একটি রিটের কারণে এই তরুণদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়া যায়নি। তবে মানবিকতার খাতিরে এটা করা যেতে পারে। এর আগেও এই অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কর্মীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের কর্মীদের ব্যাপারে মন্ত্রী নিজেও সহানুভূতিশীল।’