রাত পোহালেই দ্বার খুলবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। এই আনন্দ ছড়িয়েছে সব প্রান্তে। দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠির চার উপজেলায় এখন সাজ সাজ রব। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে চারপাশ। উৎসবের আমেজ সর্বত্র।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঝালকাঠি থেকে পাঁচ হাজার মানুষ যাচ্ছেন। ঝালকাঠির দুটি সংসদীয় আসন থেকে দুটি লঞ্চ শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা।
ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এবং ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকার দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আগ্রহীদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে।
পুরো আয়োজন দেখভাল করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৮টায় ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন-১২ নামের একটি লঞ্চ রওনা হয়েছে। লঞ্চটি নলছিটি ও ঝালকাঠির যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে দুপুরে কাঠালিয়া উপজেলা লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা লঞ্চঘাটে ভিড়ে ফারহান-৭ নামের আরও একটি লঞ্চ। সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি হয়ে অন্য লঞ্চের সঙ্গে পদ্মার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় লঞ্চটি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের লঞ্চ ভাড়া লাগছে না জানিয়ে তিনি বলেন, সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। স্টেডিয়ামে বড় পর্দায় দেখানো হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।
এছাড়া পৌর শহরের প্রবেশদ্বারে ঝলমলে বাতি এবং রঙিন পতাকা দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতারা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবর সর্বস্তরে জানান দিতে এমন আয়োজন।