কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন কুমিল্লা-সিলেট চারলেন মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হবে।
সরেজমিনে মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো মহাসড়ক খানাখন্দে ভরা। দেখে মনে হবে এটি কোনও গ্রামীণ সড়ক। গর্ত আর খানাখন্দে পরিণত হয়েছে এই মহাসড়কের ঘাটুরা, সুহিলপুর, রাধিকা-সুলতানপুর, পঞ্চবটি, আহরন্দ, মহিউদ্দিননগর, উজানিসার এলাকার অংশ। মহাসড়কটি এখনও একপাশে যান চলাচল শুরু হয়নি। অন্যপাশে চলাচল করছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহন।
টানা বৃষ্টিতে নন্দনপুর অংশ থেকে ধরখার পর্যন্ত অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ। এতে বেড়েছে ভোগান্তি।
মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচলরত লক্ষ্মীপুর থেকে সিলেটগামী বিআরটিসির বাসচালক কবির হোসেন বলেন, এই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। গাড়ি ভালো করে চালানো যায় না। এতে গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। সময় লাগছে অনেক বেশি। যাত্রীদেরও সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীরা চরম ঝাঁকুনির কারণে আমাদের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়ে। তিনি এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।
শাহাদাৎ হোসেন নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক বলেন, এমনিতেই রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। এর মধ্যে আবার বৃষ্টি। দিনে দিনে রাস্তার অবস্থা নাজুক হয়ে যাচ্ছে। বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। যেখানে ধরখার থেকে আগে বিশ্বরোড যেতে সময় লাগতো সোয়া এক ঘণ্টা। এখন সময় লাগে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকাল বাসের যাত্রী কবির আহমেদ জানান, কাউতলী থেকে ধরখার যাওয়ার জন্য দিগন্ত বাসে উঠেছিলাম। প্রবল ঝাঁকুনির কারণে সুলতানপুরে নামতে বাধ্য হয়েছি।
এদিকে খানাখন্দ আর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কের প্রকল্প উপ-ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ জানান, বৃষ্টির মধ্যে কোথাও যেন যানবাহনের চাকা থমকে না যায় সে জন্য কুইক রেসপন্স টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বৃষ্টি কমার পরপরই মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার মহাসড়কটি চার লেনে সম্প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।