নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর এলাকায় দুই বোনকে মারধরের পর হাত ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী দুই বোন দাবি করেন, সাথীর (ছদ্মনাম) বিয়ে হয়েছিল চাঁচকৈড় পুরানপাড়া মহল্লার সবুজ আলীর সঙ্গে। আরেক বোন আঁখি (ছদ্মনাম) বিয়ে হয়েছিল একই মহল্লার আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। আঁখির স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ নিয়ে একপর্যায়ে আঁখি ও আলমগীরের বিচ্ছেদ হয়। অপরদিকে, পারিবারিক কলহের জেরে সবুজ আলীও নাটোর কোর্টে গিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি সাথীকে তালাক দেয়। শুক্রবার রাতে সবুজ, আলমগীর ও আলমগীরের দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা তাদের বাড়িতে এসে বিয়ে বিচ্ছেদপত্রে সই নেওয়ার চেষ্টা করে। সই না দিতে চাওয়ায় সাথীকে মারধর করে সবুজ। এ সময় প্রতিবাদ করলে সবাই মিলে আঁখির দুই হাত ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়। এরপর তারা আঁখির চুল কেটে পুড়িয়েও দেয়। দুই বোনই আহত হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সবুজ ও আলমগীর জানায়, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কেননা তাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বিচ্ছেদের পর আর কোনও সম্পর্ক নেই।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের মা বাদী হয়ে থানায় নিয়মিত মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।