Image default
বাংলাদেশ

‘দেশে সুযোগ-সুবিধা বাড়লে কেউ চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাবে না’

দেশের হাসপাতালগুলোতে মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা আরো বাড়ানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

আজ শনিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে যোগদান করা নার্সিং কর্মকর্তাদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, একসময় দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক ও পাঁচ হাজারের জন্য একজন নার্স ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার হাসপাতালগুলোতে প্রচুর সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়ায় এই পরিসংখ্যান অর্ধেকে নেমে এসেছে।

বহির্বিশ্বে নার্সের চাহিদা প্রচুর উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের নার্সদের কমিউনিকেশন স্কিল (যোগাযোগ দক্ষতা) বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, জাপানের সঙ্গে কথা বলেছি। যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে পারলে তারা আমাদের জনবল নিতে রাজি আছে। ‘

একই সঙ্গে দেশে হাসপাতালের পরিধি বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন ড. মোমেন। বিত্তবানদের প্রতি সিলেটে হাসপাতালে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে আমাদের লোকেরা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেবে না। এই অর্থ এখানে খরচ করে তারা উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবে। বাইরের লোকজন চিকিৎসা নিতে সিলেটে আসবে। এদিকে এখনই নজর দেওয়া দরকার। ’

সিলেট নগরের পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকায় ওসমানী হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এই জায়গা নির্ধারণ করে দ্রুত জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি আরো বলেন, ‘ওসমানী হাসপাতালে নয়নাভিরাম একটি বাগান দরকার। উন্নত দেশগুলোতে হাসপাতালের সামনে দৃষ্টিনন্দন বাগান ও গাছগাছালি রয়েছে। সেগুলো দেখে এবং বাগানে বসে অনেক রোগী মানসিক প্রশান্তি পায় এবং শরীর-মনের অনেক উন্নতি ঘটে। আমাদের ওসমানী হাসপাতালেও এ রকম বাগান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। ‘ এ ছাড়া চিকিৎসক-নার্সদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ওসমানী হাসপাতাল শাখার আয়োজনে বিএনএ ওসমানী শাখার সভাপতি শামিমা নাছরিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক হিমাংশু লাল রায়, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. ময়নুল হক, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুর রহমান রোমান।

Related posts

‘বাজার করে এসে হিসাব দেওয়ার সময় অবিশ্বাস তৈরি হয়’

News Desk

রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে করোনা রোগীর অংশগ্রহ

News Desk

স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালিতে এসে যুবলীগ নেতার মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment