নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাপ্তাই হ্রদের অভয়াশ্রমগুলোতে প্রতিনিয়ত মাছ শিকার করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তাদের দৌরাত্ম্য রোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে হ্রদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি শহরের ফিশারি বাঁধ এলাকা, ট্রাক টার্মিনাল, পোড়া পাহাড়ের পেছনের হ্রদ, ডিসি বাংলো এলাকা, গর্জনতলী, রাজবাড়ি এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাছ শিকার। প্রতিদিনই এসব এলাকার হ্রদ থেকে মা এবং ডিমওয়ালা বোয়াল-কাতলা, রুই, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন অবৈধ মাছ শিকারি ও জেলেরা।
রাঙামাটি বিএফডিসির উপ-ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম জানান, বিএফডিসির ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় আমরা প্রতিদিনই হ্রদের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু হ্রদের এলাকা বিশাল হওয়ার কারণে আমরা পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়ে যায়। তারপরও আমরা ফিশারি বাঁধ, হ্রদের বিভিন্ন জায়গায় জেগে ওঠা চর থেকে অনেক চোরা শিকারিদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় কারেন্ট জাল, বড়শি, নৌযান জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটিবাসীর নিজেদের জন্যই হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। হ্রদ পাড়ের মানুষ যদি অবৈধ মৎস্য শিকারিদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা না করে তবে আমাদের একার পক্ষে এদের দমন করা সম্ভব নয়। অবৈধ মাছ শিকারিদের তথ্য দেওয়ার জন্য তিনি হ্রদ পাড়ের মানুষদের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তথ্য প্রদানকারীর নাম শতভাগ গোপন রাখা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।
রাঙামাটির পরিবেশবাদী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজের পরিচালক হেফাজত বারী সবুজ বলেন, কাপ্তাই হ্রদের জীববৈচিত্র্য এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধ মাছ শিকারি এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া খুব প্রয়োজন। এভাবে মাছ শিকার চলতে থাকলে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।