ইলিশের আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে, সরকারি সম্পদ রক্ষায় চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী অঞ্চলে অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে অংশ নিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। প্রথম দিনের অভিযানে তিনটি ড্রেজার ও আটটি বালু পরিবহনকারী বাল্কহেড জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ২২ জনকে আটক করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন চাঁদপুর সদরের এসিল্যান্ড মো. হেলাল চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম, নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, নৌ-পরিবহন পরির্দশক মো. মিলন মোল্লা।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি মো. কামরুজ্জামান জানান, সকাল ৮টা থেকে অভিযান শুরু হয়। যেসব ড্রেজার ও বাল্কহেডের রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে নৌ-পুলিশের চারটি ইউনিট একযোগে অভিযানে অংশগ্রহণ করে। প্রথম দিনের অভিযানে ড্রেজার তিনটি এবং বাল্কহেড আটটি জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ১১ নৌযানের ২২ জনকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, যেসব অবৈধ নৌযান জব্দ করা হবে, সেগুলো নৌ-পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। নৌ-পুলিশকে আমরা চিঠি দিয়েছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।