হাফেজ আবু হানিফের স্বপ্ন ধূলিস্যাত করলো পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। বরিশালের হিজলা উপজেলাধীন মাউলতলা স্কুলের কাছে নিজ বাড়িতে দেশের বেকারত্ব দূরকরণে একটি পোল্ট্রি মুরগির খামার গড়ে তোলেন। মহামারি করোনা ভাইরাস ও দুর্যোগের কারণে কিছুদিন পূর্বে মুরগি মারা যাওয়ায় আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন হাফেজ আবু হানিফ। তারপরও পোল্ট্রি মুরগির খামার বন্ধ করেননি তিনি।
হাফেজ আবু হানিফ আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ বিল প্রায় ২৬ হাজার বকেয়া থাকায় আজ রোববার (২৩ মে) বিনা নোটিসে খামারের বিদ্যুতিক সংযোগ কেটে দিলে প্রায় ৩০০ টি মুরগী মারা যায়। প্রতিটি মুরগি ২ কেজি ওজনের, যার বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকা।
হাফেজ আবু হানিফ জানান, আজ সকালে আমার কাছে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে মোবাইলে কল করে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল চাইলে আমি বলেছি, স্যার আমার কিছিু দিন আগে ৫-৬ লক্ষ টাকার মুরগি মারা যাওয়ায় আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছি। ৭/৮ দিন পরে মুরগি বিক্রয় করে আপনাদের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দিব। আমার কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন আছে।
আবু হানিফ আরও জানান, আমার মুরগির খামারে ১ হাজার মুরগী রয়েছে। আমি দুপুর বেলা মুরগিকে খাবার দিয়ে নামাজে যাই, নামাজ শেষে খামারে এসে দেখি ফ্যান চলেনা। অন্য বাসায় বিদ্যুৎ আছে, কিন্তু আমার লাইন কাটা। খামারের মুরগীগুলো এক এক করে প্রায় ৩০০টি মারা গেছে, এখনও মারা যাচ্ছে।
বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানালে তারা বলে আগে টাকা নিয়ে আসেন তারপরে লাইন লাগিয়ে দিব, বলেন হাফেজ।
হিজলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম কামাল হোসেন জানান, হাফেজকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে, তিনি বিল পরিশোধ না করার কারণে সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে আবার লাইন দেওয়া হবে।