Image default
বাংলাদেশ

পুঁতে ফেলা তিমি দুই মাস পর আবার তোলা হবে

কক্সবাজার সৈকতের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়িতে ফের ভেসে এসেছে মৃত বিশাল তিমি। শনিবার সকাল ৯টার দিকে বালুতটে পড়ে থাকা তিমিটি স্থানীয় জেলেদের নজরে পড়ে। শুক্রবার ভেসে আসা তিমিটির মতো শনিবারেরটাও মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। তবে পুঁতে ফেলা স্থানটি চিহ্নিত করে রাখা হয়। কারণ দুই মাস পর এখান থেকে তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করা হবে।

শনিবার আবারও বিশাল আকারের তিমি হিমছড়িতে ভেসে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি দেখতে পথচারীসহ স্থানীয় লোকজনের ভিড় জমে যায়। শুক্রবারের উদ্ধারকৃত তিমির মতো এটিও সাগরের লোনাপানিতে ভাসতে ভাসতে তীরে আসে। তিমিটির সামনে ও পেছনের অংশ অনেকটা খসে গেছে। পাশাপাশি পঁচে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।

একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদকর্মীরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের খবর দিলে তাদের পৃথক টিম ঘটনাস্থলে যায়।

ওই সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবারের উদ্ধারকৃত মৃত তিমির চেয়ে এটি আকারে একটু ছোট। তবে আগেরটি এবং এটির মৃত্যু একই সময়ে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফের ভেসে আসা মৃত তিমিটির দৈর্ঘ্য ৪৩ ফুট ও প্রস্থ ১৫ ফুট। ওজন হবে ১০ টনের অধিক।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, শুক্রবার ভেসে আসা মৃত তিমির মতো এই তিমিটিও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। তাই আগেরটির মতো এটিকেও হিমছড়ি সৈকতের বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তবে জায়গাটি চিহ্নিত করা আছে। দুই মাস পর ওই জায়গা থেকে তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হবে।

এডিসি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে ফের উদ্ধারকৃত মৃত তিমির ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়। গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজের ধাক্কা অথবা জেলেদের হাতে তিমিগুলোর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে পরিবেশবাদীদের ধারণা।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান বলেন, মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা মৃত তিমির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে কীভাবে পরপর দুটি তিমির মৃত্যু হয়েছে।

Related posts

১২ বছরেও শেষ হয়নি প্রকল্প, ঈদযাত্রা হবে ভোগান্তির

News Desk

জঙ্গি সন্দেহে গুলশান-বনানী এলাকায় ব্লকরেইড

News Desk

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত ৩ এপ্রিল

News Desk

Leave a Comment