রাজধানীর পল্টনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি যুবদল নেতা আপন আহমেদ গ্রেফতার হওয়ার আগের তিন দিন পটুয়াখালীতে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। ওই বাড়িটি গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম গুয়াবাড়িয়ার বিলের মধ্যে। নিরাপদ ভেবে সেখানে আত্মগোপনে ছিলেন আপন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি দল ওই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে গ্রেফতারের কারণ জানতেন না ওই এলাকার কেউ।
শুক্রবার সেই বাড়িটিতে গিয়ে আপনের শ্বশুর ফোরকান মুন্সিকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে রয়েছেন তার শাশুড়ি মর্জিনা বেগম। তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোরে তার মেয়ে মৌসুমি এবং জামাই আপন আহমেদ ওই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে আপনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশের ওপরে হামলায় জড়িত থাকা এবং মামলার বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
তিনি আরও জানান, মৌসুমি ঢাকার একটি ক্লিনিকে চাকরি করতেন। প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে আপনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
কলাগাছিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পল্টনে পুলিশের ওপর হামলায় সরাসরি জড়িত আপন আহমেদ তার শ্বশুরবাড়ি গুয়াবাড়িয়ায় অবস্থান নিয়েছিলেন। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ এবং আমরা অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছি। পরে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ আপনকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।’
আপন আহমেদ ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার কালিন্দী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীন ইসলামের ছেলে। তিনি কালন্দি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে পুলিশের ওপরে সরাসরি হামলা করেছেন আপন। এ ছাড়াও নাশকতা এবং সহিংসতায় জড়িত তিনি। এ ঘটনায় পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে তিনি চুল ও দাড়ি কেটে ফেলেন। পরে ঢাকা থেকে পালিয়ে পটুয়াখালীতে আত্মগোপনে ছিলেন।