ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে পৌঁছাবে সোমবার
বাংলাদেশ

ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে পৌঁছাবে সোমবার

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ আগামী সোমবার দেশে পৌঁছাবে। শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে তার ছোট ভাই ফরহাদ রাব্বী মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল রবিবার রাত ১১টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ফ্লাইট মরদেহ নিয়ে রওনা দেবে। সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। এরপর জাতীয় সংসদ ভবনের প্লাজায় জানাজা শেষে মরদেহ বাড়িতে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

শুক্রবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় (বাংলাদেশ সময়) যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রায় ৯ মাস ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শোকাহত গাইবান্ধাবাসী। মৃত্যুর খবরে সকাল থেকে সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামের (মিয়া বাড়ি) বাড়িতে আসতে থাকেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানান, টানা সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। তার মৃত্যুতে রাজনীতির একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে। সাঘাট-ফুলছড়ি তথা গাইবান্ধাবাসীও হারিয়ে ফেললেন একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে। সব শ্রেণির মানুষের জন্য তার দরজা খোলা ছিল। তিনি ছিলেন ত্যাগী ও আদর্শ ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

ফজলে রাব্বী মিয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০২১ সালের জুনে পেটে টিউমার অপারেশন করা হয়। তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় নানা জটিলতা দেখা দেয়। পরে ওই বছরের আগস্টে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারত নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফজলে রাব্বী মিয়া

১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা ফয়জার রহমান ও মা হামিদুন নেছা। ফজলে রাব্বী মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ২০২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শোকবার্তায় আবদুল হামিদ বলেন, সংসদ পরিচালনায় মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

Source link

Related posts

করোনায় ঢাকায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় দেড় গুণ

News Desk

তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ঢল

News Desk

বিমানবাহিনীর গাড়ির ধাক্কা, ৯ দিন পর প্রাণ গেল হাসপাতালে

News Desk

Leave a Comment