বগুড়ায় করোনার গণটিকা কার্যক্রমের প্রথমদিন টিকা পেলেন আড়াই লক্ষাধিক মানুষ। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ৩৬৬টি কেন্দ্রে দুই লাখ ৬১ হাজার ১৪০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। রাত পৌনে ৯টায় সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. ফারজানুল ইসলাম নির্ঝর বলেন, শনিবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। ১২ উপজেলা ও তিন পৌরসভা এবং ১২ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্থায়ী কেন্দ্রে ৩৬৬টি টিম টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নেয়। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই এদিন টিকা পেয়েছেন দুই লাখ ৬১ হাজার ১৪০ জন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের চারমাথা এলাকায় গণটিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। এছাড়া জেলার সব ইউনিয়ন, পৌরসভার পাশাপাশি শহরের চারমাথা, চাষিবাজার, ঠনঠনিয়া, শহীদ টিটু মিলনায়তন চত্বর, দত্তবাড়ি, হাড্ডিপট্টি, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে টিকা দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম বলেন, সরকারিভাবে বগুড়া জেলায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষকে গণটিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ তিন লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে। শনিবার একটি মোবাইল টিমসহ ৩৬৬ টিমের মাধ্যমে ৩৬৬ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৭ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার ২৪৩ জনকে এবং এক হাজার ৫২০ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সবমিলে দুই লাখ ৬১ হাজার ১৪০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুসারে এ কার্যক্রম আরও দুদিন চলবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বগুড়ায় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। জেলায় ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৮২৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৯ লাখ ৭০ হাজার ১৪৪ জন এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬৩ হাজার ১১২ জন। সবমিলে টিকার রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৬৯৯ জন।