বাঘারপাড়ায় করোনা শনাক্তের একদিন পর প্রশান্ত ঠাকুর (৭০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। প্রশান্ত ঠাকুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আদিত্যনাথ ঠাকুরের ছেলে ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের আবুল সরদার।
বাঘারপাড়া হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. শাহ-আলম রুবেল জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বর সর্দি ও কাশি নিয়ে যশোরের একজন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ওই চিকিৎসকের পরামর্শেই তিনি রোববার বাঘারপাড়া হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য যান। ওইদিন দুপুরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের আবুল সরদার বলেন, দুপুর সোয়া একটার দিকে নারিকেলবাড়িয়া শশ্মানে প্রশান্ত ঠাকুরের সৎকার করা হয়েছে।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ জানান, করোনাকালীন গঠিত উপজেলা সৎকার কমিটি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাঘারপাড়াবাসীকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাঘারপাড়া উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ জন। যারা চলতি (জুন মাস) মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে তিনজন। বাকিরা নিজবাসভবনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত এ উপজেলায় মারা গেছেন মোট চারজন। এর মধ্যে তিনজন যশোর সদর হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছিলেন। এছাড়া বাঘারপাড়ায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২০৭ জন। এরমধ্যে চলতি বছরে ৯০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৫৫ জন। বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।