পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে ভোগান্তি ছাড়াই পাটুরিয়া থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে পার হয়ে যাত্রীরা দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছেন। শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করায় লঞ্চ ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও যাত্রীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। যাত্রীরা এপারে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশসহ পরিবহন মালিকদের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাসমালিকরা যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারেন সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। এ ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।
শাহ আলি নাম এক ব্যক্তি পরিবার নিয়ে ঈদ করতে যাচ্ছেন মেহেরপুরে। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রীর চাপ থাকলেও ভোগান্তি হয়নি। আমি পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে কোনও ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কও ফাঁকা ছিল।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বহরে থাকা ১৮টি ফেরি চারটি ঘাট দিয়ে চলাচল করছে। ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতিতে বলা যায়, যাত্রীদের কোনও ভোগান্তি নেই। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি এড়াতে আমরা সব সময় নজরদারি করছি।’