গায়েবি মামলা কেন হচ্ছে বা বাঁচার উপায় কী? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ঘটনা ঘটলে মামলা হয়, না ঘটলে গায়েবি মামলা হয় না। আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশের একটি হেলিকপ্টারযোগে রায়পুর এলএম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তাকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়।
পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন চত্বরে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন ও আন্দোলনকে সামনে রেখে বিরোধীদের ধরপাকড় বেড়েছে এ অভিযোগ সত্য নয়। বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ভাঙচুর করেছে ও মানুষ পুড়িয়েছে। গত ১৫ বছর দেশে উন্নয়ন হয়েছে। বিএনপিকে মানুষ এখন আর পছন্দ করে না। এদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের নিয়মিত কর্মকাণ্ড আছে। যাদের নামে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট বের হয় কিংবা যারা অভিযুক্ত হন। কেউ যখন কারও বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেন তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিরোধী দল বা অন্য দল এটা দেখে হয় না। গায়েবি মামলাও হয় না। যেখানেই ঘটনা ঘটবে, সেখানেই মামলা হবে। এটা পুলিশের নিয়মিত কাজের অংশ। অনুসন্ধানের আগে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা বলা সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, ঘটনা ঘটলে মামলা হয়, না ঘটলে হয় না।’
এ সময় রায়পুর থানাকে সাধারণ থেকে আধুনিক মডেল থানা, হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িকে তদন্ত কেন্দ্র ও মেঘনা নদীর পাশে হাজিমারা ঝুঁকিপূর্ণ পুলিশ ফাঁড়িকে সংস্কার করাসহ জনবল বাড়ানোর জন্য ডিআইজিকে কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দলীয় একটি সমাবেশে যোগ দিতে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শহরের সরকারি মার্চেন্টস একাডেমির মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠানের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নেত্রী ফরিদুন নাহার লাইলি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া গোলাম ফারুখ পিংকু, জেলা প্রশাসক সুরাইয়া বেগম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, ইউএনও অঞ্জন দাশ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ বিন জাকারিয়া প্রমুখ।