সিলেটে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও বিয়ে করে বাড়ি ফেরার পথে বর ও কনেবাহী মাইক্রোবাস আটকিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিলেটের প্রবেশদ্বার দক্ষিণ সুরমার ‘হুমায়ূন রশিদ চত্বর’ এলাকায় গাড়ি আটকে তাদেরকে এ জরিমানা করা হয়।
বরপক্ষের লোকজনের দাবি, লকডাউন ঘোষণার আগেই মমিনখলা এলাকার ওই কনের সঙ্গে বিয়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছিল। তারিখ পেছাতে না পারায় তারা এই কঠোর লকডাউনে সীমিত পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কিন্তু বিয়ে করে কনে নিয়ে নগরের ছড়ারপাড়ের বাসায় ফেরার পথে বর-কনেবাহী মাইক্রোবাসটি থামান মহানগর পুলিশের কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। ঘটনাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ আলীর ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ফোনে জানানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে লকডাউন বিধিনিষেধ অমান্য করায় বর-কনেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে গাড়িটি ছেড়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে লাল বেনারসি শাড়ি পরা নববধূকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন বর। বর-কনেসহ গাড়িতে ৭-৮ জন যাত্রী ছিলেন। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসার আগেই চালক ছাড়া ৩-৪ জন যাত্রী সটকে পড়েন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর মো. জামাল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারাইনপুরের মো. সূর্য মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরের ছড়ারপাড় এলাকার একটি কলোনিতে ভাড়া থাকেন। কনে মোছা. বীণা বেগম কুমিল্লা সদরের আমির হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে তারা সপরিবারে দক্ষিণ সুরমার মমিনখলা এলাকায় একটি কলোনিতে ভাড়ায় থাকেন। বরের সঙ্গে ৩-৪ বরযাত্রী এবং কনের সঙ্গে একজন নারী যাত্রী ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মনিরুল ইসলাম জানান, কঠোর লকডাউন অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ আলী বর-কনেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে তারা জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন এবং আর কোনোদিন লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলেও জানান ওসি।