লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক অভিবাসন চৌকি (আইসিপি) দিয়ে শুক্রবার (২১ মে) ভারত থেকে ফেরত এসেছে ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ পর্যন্ত বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত থেকে ফেরত আসা মোট ২৪৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে গত ৭ মে ভারত থেকে আসা আবারও একজন যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১৯ মে ২৩ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেই ফলাফল বৃহস্পতিবার (২০ মে) একজনের পজিটিভ এসেছে। তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনাভাইরাস কিনা এটা জানা যায়নি। আক্রান্ত যাত্রীর দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনাভাইরাস কি না এটি জানতে ওইদিন আবারও নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইডিসিআরে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পারসন ডা. কে এম তানজির আলম।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার আব্দুল আজিজের মেয়ে আসমা আক্তার (৪১) পরিবারের ৬ সদস্যসহ ভারতের ভ্যালরে যান। সেখানে তিনিসহ চারজনের চিকিৎসা নিয়ে গত ৭ মে বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফিরে আসেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে ওই সময়ে দেশে আসা তিনিসহ ২৩ জনকে রাজ প্লাজা আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
গত ১৯ মে ২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আসমা আক্তারের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে তাঁকে ওই আবাসিক হোটেলে আইসোলেশনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ২১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোহেল রানা নামে এক যাত্রীর নমুনার পরীক্ষা সঠিকভাবে না আসায় আবারও নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ পযর্ন্ত ছাড়পত্র পেল মোট ৫৭ জন। এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পারসন ডা. কে এম তানজির আলম ভারতফেরত যাত্রী আসমা আক্তারের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।