ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ দিন ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ, আটক আরও ২৩
বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ দিন ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ, আটক আরও ২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৫ দিন ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পাঁচটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আরও ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ রাতে বিরাসার পশ্চিমপাড়া এলাকায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাশেম মাস্টার, বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর সদস্য আল আমিনের সঙ্গে একই এলাকার তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও দুলাল আনসারী গোষ্ঠীর সদস্য নুরুল্লার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে ৫ মার্চ সকালে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। আড়াই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এ সময় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ১০টি বাড়িঘর। এছাড়া লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয় অন্তত ২০টি বাড়িঘর। সেই ঘটনার সূত্র ধরে গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে একটি, দুই পক্ষের দুটি এবং অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় ২০ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তারপরও গত ২৫ দিন ধরে মাঝেমধ্যে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। শনিবার সংঘর্ষের সময় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

বিরাসার গ্রামের গৃহবধূ ফরিদা বেগম বলেন, ‘গত ২৫ দিন ধরে গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিক্ষিপ্তভাবে একে-অপরের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর চালাচ্ছে। আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি আমরা। এভাবে কতদিন চলবে জানি না। সমস্যা সমাধানের জন্য কেউ নেই। গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।’

একই গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, ‘রাত হলেই একপক্ষ আরেকপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। হামলাকারীদের ভয়ে বাড়িতে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। আমরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা চাই না, গ্রামে শান্তি চাই।’

নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ দিন ধরে থেমে থেমে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছে। একাধিকবার সালিশ বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনোভাবেই সমাধান করা যাচ্ছে না। তাই পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাচ্ছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আগের সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আজকের ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

Source link

Related posts

‘নির্বাচিত হয়েই অনিয়ম শুরু করেছেন চেয়ারম্যান’

News Desk

লকডাউনে যে সকল বিধিনিষেধ মানতে হবে

News Desk

মধ্যরাত থেকে বগুড়ায় ৭ দিনের লকডাউন

News Desk

Leave a Comment